মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এমন মন্তব্য করেন।
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্পর্ক এমন পর্যায়ে রয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা পানি বন্টন নিয়ে কিছু না হলেও কোনো রকম প্রভাবই পড়বে না।
মন্ত্রী জানান, এ চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের বেশিরভাগই বর্ডার হাট স্থাপন, তথ্য ও সম্প্রচার, বেসমারিক পারমাণবিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ভারত কর্তৃক প্রদেয় তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি), কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত।
বিরল-রাধিকারপুর রুটে মালামাল পরিবহনকারী রেল চলাচল, খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী বাস ও রেল চলাচল এবং ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ প্রক্রিয়ার উদ্বোধন। এ ছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র হিন্দি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ