বুধবার (০৫ এপ্রিল) শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিছুদিন আগেও ৫০ কেজি এক বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকায় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকায়।
এদিকে, খুচরা প্রতি কেজি পাইজাম চালের দাম ছিল ৩৮ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৬ টাকা, মালা-২৯ ৪২ টাকা, চিকন সিদ্ধ চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ার জন্য মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে খুচরা বিক্রেতারা।
রিকশা চালক রাজীব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, চাল দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো গরীব মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাওরে পানি ঢোকার পর থেকে যে পরিমাণে চালের দাম বেড়েছে এর আগে কোনোদিন এতো দাম বাড়েনি। যে চাল এক সপ্তাহ আগে ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি এখন সেই চাল কেজি প্রতি ১০টাকা বেড়ে গেছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খুচরা চাল বিক্রেতা সুলতান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের উপজেলার কোনো মিলে চাল নেই। এজন্য আমি সুনামগঞ্জে এসেছি চাল কেনার জন্য। কিন্তু দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। পাইকারি দরে ৫০ কেজি বস্তার চাল আতপ গুটি স্বর্ণা চাল কিনেছি ২১শ টাকা ও সিদ্ধ চাল কিনেছি ২২শ টাকা বস্তা। এখন আমার যাতায়াত গাড়ি ভাড়াসহ চালের দাম রাখতে হবে। না হলে ক্ষতি আমার নিজের। সামান্য লাভ না করলে কিভাবে পরিবার নিয়ে বাঁচবো।
রাসেল অটোরাইস মিলের মালিক রাসেল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মিলে কোনো ধান নেই। বৈশাখ মাসে ধান পাওয়া যাবে এবং পুরাতন ধান থাকলে দাম কম পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কায় সব ধান চাল করে বিক্রি করা হয়েছে। মিল মালিকরা কোন সিন্ডিকেট করছে না। ওল্টো বিক্রির জন্য অন্য জেলা থেকে চাল এনে বিক্রি করা হচ্ছে। যাতায়াত খরচ বাড়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চালের দাম যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য আমরা মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি ওয়েমেসের চালের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালেয়ে আবেদন করেছি। জেলার সব ইউএনকে বলে দেওয়া চালের বাজার মনিটরিং করার জন্য। আমি ১১০ মেট্রিক টন জিআর চাল বিতরণের জন্য বিভিন্ন উপজেলায় পাঠিয়েছি। চালের দাম যাতে কোনো দোকান মালিক বেশি রাখতে না পারে সে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। চালের সংকট যাতে না হয় সেজন্য অন্য জেলা থেকে চাল আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এনটি