হত্যার পূর্বে মঞ্জু তাদের দুই সন্তানকে প্র্রতিবেশী মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রোজিনার কাছে রেখে আসেন।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগম নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়ার আদালতে দোষস্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী মঞ্জু। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ সানারপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান সিকদারের ৬ তলা ভবনের ৪ তলায় একটি ফ্লাটে দুই সন্তান ও স্ত্রী মিম আক্তারকে (২৩) নিয়ে ভাড়া করতেন মঞ্জু।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিককলহ ছিলো দীর্ঘ দিনের। ঘটনার দিন গত ৩০ মার্চ স্ত্রীর সঙ্গে মঞ্জুর বাকবিতণ্ডা হয়। এতে মঞ্জু দুই সন্তানকে প্রতিবেশী মনির ও তার স্ত্রী রোজিনার কাছে রেখে এসে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে বেল্ট খুলে পিটাতে থাকে মঞ্জু। এ সময় মীম বেল্ট ধরে ফেলে এবং মঞ্জুর হাতে কামড় দিয়ে বেল্টটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মঞ্জু গলা টিপে মীমকে হত্যা করে। পরে মরদেহটি বাথরুমে রেখে রান্না ঘরের গ্যাসের পাইপ খুলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৫টার দিকে ৬ তলা ভবনের ৪ তলায় আগুন দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাথরুমের ভেতর থেকে
আগুনে পোড়া মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত মীম বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ থানার চাত্তারহাট এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
আরআইএস/