গরুর বেপারিরা বলছেন, ভারত থেকে যে পরিমাণ গরু আসে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে গরুপ্রতি সীমান্ত পারাপারের খরচসহ বেড়েছে সার্বিক খরচ।
গাবতলী হাটে গরু ব্যাপারী সোহেল বাংলানিউজকে জানান, হাটে এখন বেশির ভাগই দেশি গরু। অনেক বড় বড় গরু আছে, যেগুলো বিদেশি জাত হলেও দেশের খামারিরাই পালন করছেন। ভারত থেকে গরু আসা এখন বলতে গেলেই বন্ধ। আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ গাড়ি ভারতীয় গরু আসতো। এখন সপ্তাহে আসে গাড়ি দুই একটি গাড়ি।
সীমান্তে গরু পার হওয়ার পর সেগুলো বেপারীর ইচ্ছেমতো বাছাই করে কিনে গন্তব্যে পৌঁছে দেন মো. মোহসীন। গরু ব্যবসায়ীরা তাদের রাখাল হিসেবেই চিনে।
মোহসীন বাংলানিউজকে জানান, গরু বাংলাদেশে কখনোই বৈধ পথে আসতো না। চোরাই পথে আসলেও যে পরিমাণ গরু আসতো, এখন সে তুলনায় আসেনা বললেই চলে।
তিনি আরও জানান, এক জোড়া গরু বর্ডার পার করে বাংলাদেশে আনতে খরচ পড়ে গরুভেদে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে গরুর দাম বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুন। দাম বেশি হলেও যে পরিমাণ গরু পাচার হয়, তা নিয়ে ব্যাপারীদের মধ্যে টানাটানি লেগে যায়। বাড়তি টাকা দিয়েও অপেক্ষায় থাকা ব্যবসায়ীরা গরু পায় না। আগে যে গরু ৩০ হাজার টাকা ছিলো সেই গরু এখন ৬০-৭০ হাজার টাকা।
রাজশাহী এলাকা থেকে ১৫টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বেপারী মনু মিয়া। তিনি জানান, ভারত থেকে গরু আসা প্রায় বন্ধ থাকায় দাম বেশি। চাহিদার তুলনায় গরু কম থাকায় একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশি গরুর দামও বেড়েছে। ভারতীয় গরুতে এখন আর আগের মত লাভ নাই। দেশে যারাই গরু পালছেন তারাই লাভবান হচ্ছেন।
এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত হত্যার সবচেয়ে বড় কারণ গরু পাচার। ছিন্নমূল মানুষরা টাকার লোভে ঝুঁকি নিয়ে গরু পাচার করে থাকে। বর্তমানে গরুর পাচার কমে যাওয়ায় সীমান্ত হত্যাও কমে এসেছে। গরুর পাচার রোধে বিজিবি বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারও অভ্যন্তরীণ চাষের মাধ্যমেই গরুর চাহিদা পূরণ করতে মনযোগ দিয়েছেন। ফলে সাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন দেশের খামারিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
পিএম/ইইউডি/এনটি