বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে ইউনিয়নের কলাকোপা বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর অর্ধগলিত বাম হাতের কব্জি ও বুকের বাম পাশের অংশ উদ্ধার করা হয়।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধার হওয়া বুকের অংশের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি কোনো নারীর দেহের।
তবে, এটি উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের কাসেম খন্দকারের ছেলে প্রবাসী মিজান খন্দকারের (৩৪) স্ত্রী সীমা আক্তারের (৪০) কি-না তা ডিএনএ টেস্টের পর জানা যাবে বলে জানান ওসি।
এদিকে, সীমা হত্যার ঘটনায় স্বামী মিজান খন্দকার, সবুজ খন্দকার, বোন শাহনাজ বেগম ও ভগ্নিপতি মিজান হাওলাদারকে (৩০) আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন সীমার বড়ভাই মাজেদুল ইসলাম।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে মিজান খন্দকারকে সোমবার (০৪ এপ্রিল) পাঁচদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, তিন বছর আগে সীমা আক্তারের সঙ্গে রাজাপুর উপজেলার বাঘড়ি গ্রামের কাশেম খন্দকারের ছেলে সৌদি প্রবাসী মিজান খন্দকারের বিয়ে হয়।
মিজানের প্রথমপক্ষের স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা স্বামীর বাড়িতে কখনো বসবাস করেন নি। গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজাপুরে আলাদা বাসাভাড়া করা হয়েছে বলে মিজান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পিরোজপুর থেকে রাজাপুরে নিয়ে আসেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সীমা মোবাইল ফোনে তার ভাই বাদশাকে জানায়, সে বিপদের মধ্যে রয়েছে। এরপর সীমার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইদিন রাতে সীমাকে হত্যা করে মরদেহ বিষখালী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ঘটনার পরে স্বামী মিজান খন্দকারকে ঢাকার মতিঝিল থেকে ও ভগ্নিপতি মিজান হাওলাদারকে রাজাপুরের সাউদপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমএস/ওএইচ/জেডএস