রাজধানীতে দৃশ্যটি এখন প্রায় নিত্য হয়ে উঠেছে। এ যেন কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশের মতো।
বৃষ্টি হলে রিকশা চালকদের জন্য তা পৌষ মাসই বটে। কেননা, রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোর যে বেহাল দশা, তাতে একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর বিপদে পড়েন সাধারণ পথচারীরা। এতে তাদের সর্বনাশ হয় না ঠিকই, তবে রিকশা চালকদের আয়টা বেড়ে যায় নিশ্চিত।
আবর্জনা আর সুয়ারেজের বর্জ্য মিশ্রিত গা ঘিনঘিন পানিতে কে-ই বা পা ভেজাতে চান। সে সুযোগটাই লুফে নেন রিকশা চালকরা। জলবদ্ধতা হলেই তারা অনেকটা উল্লাসের সুরেই বর তোলেন- পানিপার দশ টাকায়, পানিপার দশ টাকায়।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলের দিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে ঢাকার প্রায় সব সড়ক, অলি-গলিতেই পানি জমে যায়। এতে অফিস ফেরত মানুষের বিড়ম্বনার শেষ থাকে না। অবতারণা হয়, সেই দৃশ্যের। তবে এতে রিকশা চালকের ‘শর্টকাট’ উপার্জনের মাধ্যমে মানুষজন রেহাই পান নোংরা পানি মাড়ানো থেকে।
বুধবার বিকেলের বৃষ্টির পর শান্তিনগর ও মগবাজার এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায়, থেকে থেকে ২০০ ফিটের মতো ফুটপাতসহ রাস্তা বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। রাস্তার দু’পাশে রিকশা চালকদের ডাকাডাকি- পানি পারাপার দশ টাকা, একজন পাঁচ টাকা।
বিকেলে বৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতা কাটেনা মধ্যরাত পর্যন্তও। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মগবাজার ওয়ারলেস রেলগেটের কাছেও রিকশা চালকদের একযোগে এ হাঁকাডাক শোনা যায়।
রিকশা চালক মোহাম্মদ এলিম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার বিকেলে বৃষ্টির পরপরই এখানে পানি জমে যায়। এতে আশপাশের অলিগলিতে যানজট লেগে যায়। যাত্রী নিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। তাই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এভাবে যাত্রী পারাপার করলাম। এভাবে ঠেলেই পারাপার করা যায়।
‘অন্যদিনের চেয়ে আজকের ইনকাম ভালোই হয়েছে’-হাসিমুখে বলেন এলিম।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এজেডএস/ইইউডি/জেডএস