ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্তে মাইন অপসারণে একমত বাংলাদেশ-মায়ানমার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
সীমান্তে মাইন অপসারণে একমত বাংলাদেশ-মায়ানমার বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মায়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ পর্যায়ে বৈঠক, ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড মাইন বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা এড়াতে উভয় দেশ এক সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মায়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফের মধ্যে ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত আয়োজিত সীমান্ত সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিজিবি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এবং মায়ানমার চিফ অব পুলিশ স্টাফ ব্রি. জেনারেল মেয়ো সেও উইন’র নেতৃত্বে ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল এ সম্মেলনে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে বিজিবি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. আনিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হচ্ছে বিস্তারিত, ছবি: ডিএইচ বাদলতিনি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসব ল্যান্ড মাইন ও আইইডি (Improvised explosive device-IED) পুঁতে রাখতে পারে। সেখানে আমরা যেতে পারছি না। তবে পুঁতে রাখা এসব মাইন ও আইইডি সরাতে বাংলাদেশ-মায়ানমার উভয় দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে।

বাংলাদেশ ও মায়ানমারের ভূমি রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তের বিশেষ কোনো এলাকায় এ ধরনের অপরাধীদের অবস্থান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া গেলে উভয় দেশ সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করবে।

আনিছুর রহমান বলেন, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে মায়ানমারের চিফ অব পুলিশ স্টাফ।

‘আমরা এর আগেও মায়ানমার সীমান্তে থাকা বেশ কিছু ইয়াবা তৈরির কারখানার একটি তালিকা দিয়েছিলাম। ওরা তালিকা অনুযায়ী কারখানাগুলোর কোনো সন্ধান পায়নি। এবারও আমরা প্রায় ৪৯টি কারখানার তালিকা দিয়েছি,’ যোগ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে আনিছুর বলেন, চিফ অব পুলিশ স্টাফ জানিয়েছেন- বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি শান্ত আছে। রোহিঙ্গারা চাইলে দেশে ফিরে যেতে পারেন।

ছয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে উভয় দেশের পক্ষ থেকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সহযোগিতা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি নষ্ট করতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা, সীমান্তবিধি লঙ্ঘন না করা, অনিচ্ছায় সীমান্ত অতিক্রম করা কোনো নাগরিকের কাছে অবৈধ দ্রব্য না পাওয়া গেলে তার কাছে থাকা জিনিসপত্রসহ তাকে অপর পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা, মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত, উভয় সরকার অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না, সীমান্তে জিরো লাইনের পাশে পুঁতে রাখা আইইডি ও মাইন যৌথ তৎপরতায় অপসরণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭/আপডেট ১২৪৬ঘণ্টা
এসজেএ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।