খুলনার ৯টি উপজেলার মধ্যে- দিঘলিয়া, দাকোপ ও কয়রা উপজেলা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অবশিষ্ট উপজেলাগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত করে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে ভিক্ষুকমুক্তকরণ, ‘ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন সংস্থা, খুলনা’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচি একটি মহতী উদ্যোগ। ভিক্ষুকমুক্ত এ কর্মসূচি খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম শুরু হয়। ভিক্ষাবৃত্তি একটি অপরাধ, ভিক্ষা দিয়ে আমরা ভিক্ষুক সৃষ্টি করছি। ভিক্ষা না দিলে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে যাবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী খুলনা বিভাগের এ মহতী উদ্যোগে সন্তুষ্ট হন এবং ভিক্ষুকমুক্ত কর্মসূচিকে জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেন। কেউ ভিক্ষা দিতে চাইলে অন্তত একজন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে তিনি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় জুম্মার খুতবায় ইমামদের ভিক্ষাবৃত্তি থেকে নিরুৎসাহিত করতে আলোচনা করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইমাম, মসজিদ-মন্দির কমিটির সভাপতির সঙ্গে সমন্বয় সভা করা, খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি প্রচারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা যাতে পুনরায় এ পেশায় ফিরে না আসেন সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখাসহ জুমার দিন বিভিন্ন মসজিদের সামনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এমআরএম/জিপি/জেডএস