ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দু’দেশের বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় নেবে হাসিনার সফর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
দু’দেশের বন্ধুত্ব নতুন উচ্চতায় নেবে হাসিনার সফর সংবাদ সম্মেলনে বাঁ থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বাংলাদেশ-মায়ানমার) শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন ও পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর/ছবি: আলমগীর হোসেন

নয়াদিল্লি: প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্ব-সৌহার্দ্যের সম্পর্ক বিদ্যমান তা নতুন উচ্চতায় নেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে নয়াদিল্লির মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় সাউথ ব্লকে বাংলাদেশের মিডিয়া ডেলিগেশনের জন্য ‍আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফর দু’দেশের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, তা আরও এগিয়ে নেবে।

নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এ সম্পর্ককে। এটা হবে ঐতিহাসিক এক সফর।

বহুল আলোচিত সামরিক সহযোগিতা চুক্তি বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের যে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি হতে যাচ্ছে সেটা উন্নয়ন প্রকল্প থেকে আলাদা হবে। এটা হবে সবচেয়ে স্বল্প সুদের ঋণ। বাংলাদেশ অন্য যেসব দেশ থেকে ঋণ নেয়, তা থেকে এই ঋণের সুদের হার হবে অনেক কম।

সার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, পাকিস্তানের অসহযোগিতায় সার্ক অকার্যকর হয়ে পড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনে বিমসটেককে (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) এগিয়ে নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বাংলাদেশ-মায়ানমার) শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন।

সাতবছর পর দ্বিপক্ষীয় সফরে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারদিনের এ সরকারি সফরে ব্যস্ত সময় কাটাবেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ রাজনৈতিক দলের প্রধান, সরকারের মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের কংগ্রেস পার্টির নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে রাহুল গান্ধী দেখা করবেন সফরে। শেখ হাসিনার সম্মানে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরে ৩৩টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

রেল-বাস যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি, বন্দর, পরমাণু শক্তি প্রভৃতির পাশপাশি বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির জোর সম্ভাবনা রয়েছে এ সফরে। শেখ হাসিনার সম্মানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ মুহূর্তে মমতার এ সিদ্ধান্তকে তিস্তা চুক্তির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কূটনীতিক মহল।

চারদিনের ব্যস্ত সফর শেষে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।


আলমগীর হোসেন
 আলমগীর হোসেন
 এডিটর ইন চিফ
 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আরও পড়ুন:
** গুরুত্বপূর্ণ সফরে শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন হাসিনা
** মমতা রাজি না হলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে রফা তিস্তা ইস্যুর
** তিস্তায় কত জল!
** শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে নয়াদিল্লিতে সাজ সাজ রব
** শহীদ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলায়
** সোনিয়ার সঙ্গে রাহুলও আসছেন হাসিনা সাক্ষাতে

** ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি অসম্ভব নয়’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।