দেবীকে বিদায় জানানোর আগে শেষবারের মতো উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শেষ মুহূর্তে দেবীর আরাধনায় ব্যস্ত ছিলেন ভক্ত সাধারণ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা দুর্গা মন্দিরে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
দশমীর সকালে উলু ধ্বনি, ঢাক, কাসর, ঘণ্টা ও শঙ্খের ধ্বনির মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হয়। সকালে পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই মণ্ডপে ভিড় করতে থাকেন ভক্তরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে পূণ্যার্থীদের আগমনে ভরে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ।
পূজা শেষে ভক্তরা একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন। গালে-গালে কেটে দেন রঙের আঁচড়।
শ্যামলী রায়, বাসন্তী রানী, দিপালী চৌধুরী, শিলা দেবী, অঞ্জনা ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, আজকে শেষদিন, দেবীর বিসর্জন। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দেবীকে আর ধরে রাখার সুযোগ নেই।
তারা সকালেই মন্দিরে এসে পূজা অর্চনা করেছেন। অতীত জীবনের পাপ মোচন ও অশুভ শক্তির কবল থেকে বাঁচতে দেবীর আশীর্বাদ নিয়েছেন।
হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, হারানো রাজ্য ফিরে পেতে সুরথ রাজা দুর্গা দেবীর আরাধনা করেছিলেন বসন্তকালে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সেই বিশ্বাস থেকে অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে বসন্তকালে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেন।
দেবী দুর্গাকে হেমন্ত ঋতুতে পূজা করার রীতি রয়েছে। দেবীকে তখন কাত্যায়নী নামে পূজা করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার মতো এসব পূজাতেও ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/টিআই