এসব ঘটনায় ২৪১ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা রুজু করা হয়েছে ১৯৯টি।
এছাড়াও জানুয়ারি-মার্চ এ তিন মাসে ১টি পাজারো জিপ, ৫টি প্রাইভেটকার, ২টি মাইক্রোবাস, ১টি বাস, ১টি কার্ভাড ভ্যান, ৬টি পিকআপ, ১টি মাহেন্দ্র, ২টি মোটরসাইকেল, ২টি ইজিবাইক ও ১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ মোট ২২টি যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে ৫৪ হাজার ৭২ পিস ইয়াবা, ১৭১ কেজি গাঁজা, ৫৯১ বোতল ফেনন্সিডিল, ২০২ বোতল চোলাই মদ, ৩৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৭ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। এ মাসে মাদক সংক্রান্ত কাজে জড়িত থাকায় ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা হয়েছে ৬২টি।
সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে মোট ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ১০০ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
পরের মাস ফেব্রুয়ারি ৬২ হাজার ৭২৪ পিস ইয়াবা, ৬০৮ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৬ বোতল ফেনন্সিডিল, ১৪৯ বোতল চোলাই মদ, ৭৮ বোতল বিদেশি মদ, ১০ ক্যান বিয়ার, ১৬৫.১৪ গ্রাম হেরোইন, অন্যান্য ১ হাজার ৫০০ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। ওইমাসে মোট ৯০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৭২টি। উদ্ধার করা হয়েছে মোট ২ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার ৫৫ টাকার মাদকদ্রব্য।
সব শেষ মার্চ মাসে ৬৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬০ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়াবা ১২ হাজার ৮৪৩ পিস, গাঁজা ১৫৭ কেজি, ফেনন্সিডিল ১ হাজার ৭৭ বোতল, চোলাই মদ ১৮৮ বোতল, বিদেশি মদ ১৩৮ বোতল, বিয়ার ১ হাজার ১০০ ক্যান, অন্যান্য নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২০০ পিস উদ্ধার করা হয়েছে। মার্চ মাসে মাদকসংক্রান্ত ৭০ জন আমামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলা রুজু হয়েছে ৬৫টি।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন ও স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মো. আনিসুজ্জামান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেকটা সতর্ক। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।
উঠতি বয়সি তরুণ-তরুণীদের বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াতে হবে। এর জন্য শুধু পুলিশ নয় প্রতিটি পরিবারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এসজেএ/জেডএস