ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতি জেলা-উপজেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
প্রতি জেলা-উপজেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রা

ঢাকা: বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রতি জেলা-উপজেলায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। বিশেষ করে ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করা হবে। 
 
 

আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।

বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।  
 
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনসহ আলোচনা সভা ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।  
 
“ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অবস্তুগত/অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। ”
 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বিসিক ও ছায়ানট নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।  
 
ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার আয়োজন করবে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং বাংলা একাডেমি ও বিসিক।  
 
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। শিশু পরিবারের শিশুদের নিয়ে ও কারাবন্দিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে এবং কয়েদিদের তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।  
 
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় জাদুঘর ও প্রত্নস্থানগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে (শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টিকিটে)।  
 
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে, বিশেষ করে ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অবস্তুগত/অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করবে।
 
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ ইউনেস্কো কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অবস্তুগত/অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করবে ও বহির্বিশ্বে প্রচার করবে। অভিজাত হোটেল ও  ক্লাব বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করবে।  
সব সরকারি/বেসরকারি টিভি ও বেতার বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং স্ব-উদ্যোগে বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনসহ বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে প্রচার করবে।  
 
‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৪’ উদযাপরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  

গত ৩০ নভেম্বর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইউনেস্কোর আইসিএইচ (ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ) এর আন্তঃদেশীয় কমিটির একাদশ বৈঠকে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।