ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে মাছ আহরণ বন্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে মাছ আহরণ বন্ধ কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে মাছ আহরণ বন্ধ

রাঙ্গামাটি: দেশের বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদে ১ মে থেকে সব প্রকার মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণের ওপর প্রাথমিকভাবে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ ও অবমুক্তকৃত কার্প জাতীয় মাছের পোনার সুষ্ঠু বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ’ বিষয়ক এক সভায় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। একইসঙ্গে মাছ আহরণ বন্ধ থাকাকালে কাপ্তাই হ্রদে এ পেশার ওপর নির্ভরশীল অতি দরিদ্র প্রায় ২০ হাজার জেলে পরিবারকে তিন মাসের জন্য বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য শস্য দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা কাজী বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক কে এম জসিম উদ্দিন বাবুল, রাঙ্গামাটি চেম্বারের পরিচালক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, সাংবাদিক মো. মোস্তফা কামাল ও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলা সীমানার মধ্যে বরফকল এবং হ্রদের নির্ধারিত মাছের অভয়াশ্রমগুলোতে আহরণ বন্ধ থাকবে।  

সভায় আরও জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন এবং কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের সব কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় কাপ্তাই হ্রদে ২৫ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয় সভায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমইউবি/এমসি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।