নতুন বর্ষকে বরণ করতে পাহাড় সেজেছে নতুন রূপে। তিন দিনব্যাপী বৈসাবি অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা।
![নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুরু প্রাণের ‘বৈসাবি’](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Khagrachari-pic-3-inn-120170412122147.jpg)
ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও চাকমাদের ‘বিজু’ উৎসবের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে ‘বৈসাবি’।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে (১৩ এপ্রিল) চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি করে আপ্যায়ন করেন। প্রায় ৩০ পদের সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ পাজন। নববর্ষের দিন গুরুজনদের বস্ত্রদান করা হয়। মন্দিরে মন্দিরে চলে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।
মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে। উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ জলকেলী। সকল দুঃখ ও পাপ ধুয়ে দিতে মারমারা একে অপরের দিকে পানি ছুড়ে মেতে উঠেন। তরুণ তরুণীরা ভালোবাসার মানুষটির দিকে পানি ছিটিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিণত হয়েছে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলায়। এদিকে এই উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িতে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। বলা যায় উৎসবে রঙিন পার্বত্য চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
আরআর/বিএস