এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ রামদা ফালাসহ দেশীয় অস্ত্র।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-আব্দুস সাত্তার, আব্দুল কাইয়ুম, নুর আমিন, মোশারফ, রহিজ উদ্দিন। তারা স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের মামাতো ভাই।
বুধবার (১২) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝালরচর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝালরচর গ্রামের টারু মিয়ার সঙ্গে আব্দুল ছালামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধপূর্ণ জমি কিনে নেন ফারুক মিয়া। বুধবার সকালে ট্রাক্টরসহ জমি দখল করতে যায় ফারুক। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে শতাধিক লোক পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ। পরে বকশীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দু’পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে স্থানীয় এমপি আবুল কালাম আজাদের মামাতো ভাই ও তার আত্মীয়-স্বজনরা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হামলা চালায়। হামলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাইজুল ইসলাম, মাহাফুজুর রহমান, কং সোরহাব আলীসহ ৯ পুলিশ আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ১২ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ