বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) প্রধান মুফতি হান্নানকে ফাঁসি দিয়ে নিজের কারাভোগের মেয়াদ আরও ৬৩ দিন কমিয়ে আনবেন জল্লাদ রাজু।
কারা সূত্রে জানা যায়, যেসব আসামির দীর্ঘদিনের কারাদণ্ড হয়েছে, তাদের থেকে জল্লাদ বাছাই করে আনা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে জল্লাদ হিসেবে কাজ করা রাজু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মঞ্চের লিভার টেনে আলোচনায় আসেন।
সূত্র জানায়, একটি ফাঁসির আগে সাতদিনের রিহার্সেল চলে। পুরো প্রক্রিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রিহার্সেল করা হয়। পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতভাগ যাচাই করা হয়।
ফাঁসির এক বা দু’ঘণ্টা আগে কনডেম সেলে আসামির কাছে শেষ ইচ্ছা স্বরূপ সাধারণত পছন্দের খাবার বা পরিবারকে কিছু জানানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় আসামির সঙ্গে দেখা করেন জেল সুপার এবং হুজুর।
ফাঁসির চূড়ান্ত সময়ে জেল সুপার, জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকেন।
এ সময় জল্লাদ জেল সুপারের রুমালের দিকে খেয়াল রাখেন। রুমাল ছাড়লেই লিভারে টান দেন জল্লাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/টিআই