ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘মুফতি’ হান্নান-বিপুলের ফাঁসির মঞ্চ ঘিরে যারা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
‘মুফতি’ হান্নান-বিপুলের ফাঁসির মঞ্চ ঘিরে যারা

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে: ফাঁসির ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টার পর যেকোনো সময় ফাঁসিতে ঝোলানো হবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) প্রধান ‘মুফতি’ আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলকে।

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হতে যাচ্ছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে। একই মঞ্চে পাশাপাশি দুই ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হবে তাদের।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার নিশ্চিতের জন্য কাশিমপুর কারাগারের বাইরে অবস্থান করছেন। কারা এলাকার সব দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারাগারের গেটগুলোসহ আশপাশের কয়েকশ’ গজ এলাকায় সাধারণ মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, জঙ্গি নেতা ‘মুফতি’ আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের ফাঁসির কার্যকরের জন্য পুরো গাজীপুর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কারাগার এলাকায় এর চেয়েও বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
 
কারা সূত্র জানিয়েছে, দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। ফাঁসির মঞ্চকে ঘিরে থাকবেন ২০ জন কারারক্ষী। মঞ্চে থাকবেন ৮ জন জল্লাদ।

কারাগারের ইমাম ফাঁসির আসামিদের মঞ্চে নেওয়ার আগে তওবা পাঠ করাবেন।

এরপর তাদের ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে একজন জল্লাদ কালো টুপি পরাবেন। অন্য দু’জন জল্লাদ তাদের হাত ও পা বেঁধে দেবেন। আর প্রধান জল্লাদরা মঞ্চের দুই পাশে দুই ফাঁসিকাষ্ঠের লিভার টানতে সংকেতের অপেক্ষায় থাকবেন।     
 
ফাঁসির মঞ্চের সামনে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে উপস্থিত আছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি ‍প্রিজন) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি ‍প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম, কাশিমপুর হাই সিকিউরেটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান ও ডেপুটি জেলার মনিরুল ইসলাম।    
 
রয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ, সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. মনজুরুল হক এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলামও।

ইতোমধ্যে আসামিদের শেষ ইচ্ছেও জেনে নিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তবে তারা কিছু খেতে চেয়েছিলেন কি-না বা পরিবারকে কোনো কথা জানাতে চেয়েছিলেন কি-না, সেটি সর্ম্পকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমএন/ এজেডএস/ এসজেএ/ পিএম/ আরএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।