মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের কোনাগাঁও জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক গোরস্থানেই খোঁড়া হচ্ছে তার কবর।
গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
মানিক মিয়া নামে রিপনের এক চাচা বাংলানিউজকে জানান, তিনিসহ মোট ছয়জন মিলে এই কবর খুঁড়ছেন। বাকিরা হলেন মো. রমিজ আলী, রহমান মিয়া, আমান মিয়া, খালিক মিয়া ও আলখাছ মিয়া।
সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে কেয়ারটেকার মুস্তাকিন ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির কেয়ারটেকার জানান, স্বজনরা রিপনকে দেখতে সিলেট কারাগারে গেছেন।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এতে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দাল নামে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। বুধবার রাতে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্দুল হান্নান ও বিপুলের এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকরের তোড়জোড় চলছে।
**জঙ্গি রিপনের সঙ্গে বাবা-মায়ের শেষ সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এসআই