ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঠিক দশটায় ঝোলানো হলো ৩ জঙ্গিকে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
ঠিক দশটায় ঝোলানো হলো ৩ জঙ্গিকে তিন জঙ্গির ফাঁসি হয়েছে দুই কারাগারে

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে: ঠিক দশটায় ঝুলে গেলেন তিন জঙ্গি। দু’জন কাশিমপুর ও একজন সিলেটের কারাগারে।

বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত দশটায় সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে। একই সময়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের।

একই সময়ে একই সঙ্গে দুই কারাগারে এই তিন জঙ্গির ফাঁসির রায় কার্যকর করে স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষ।

কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দেশের দুই কারাগারে এক সময়ে তিনজনের ফাঁসির রায় কার্যকরের ঘটনা এটিই প্রথম।

আইজি প্রিজন বলেন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামি ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এক আসামির একই সময়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।

‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়ে রাত দশটা ৫ মিনিটে সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান বলেন, সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালে হত্যা চেষ্টার দায়ে আদালতের রায় অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

একই সময়ে সিলেটে কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের। জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন জঙ্গির একজন রিপন।

‘মুফতি’ হান্নানকে তার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামের বাড়ি, রিপনকে তার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের বাড়ি এবং বিপুলকে তার চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের ‘বকশি পাটওয়ারী বাড়ি’তে স্ব স্ব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এজন্য ময়না তদন্ত শেষে কারাগার থেকে বের করে তাদের মরদেহ যার যার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন।

মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৫ আসামির মধ্যে ‘মুফতি’ হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ এ রায় বহাল রাখার পর গত ২৭ মার্চ পৃথকভাবে ‘মুফতি’ হান্নান, বিপুল ও রিপন স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন। গত ০৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর জেলকোড অনুসারে তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করে স্ব স্ব কারা কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমএন/এনইউ/পিএম/এজেডএস/এসজে/আরএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।