ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জল্লাদ ফারুক, কয়েদি নং-৭৫৮৭

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
জল্লাদ ফারুক, কয়েদি নং-৭৫৮৭ জঙ্গি রিপনের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স- ছবি- আবু বকর

সিলেট: পাঁচ মামলায় ৮৫ বছর সাজাপ্রাপ্ত জল্লাদ ফারুক হোসেন (৬৬)। তিনি কানাইঘাট সদরে ডাউকের গুল গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে। কারাগারে তার কয়েদি নং-৭৫৮৭।

দু’টি হত্যা, দু’টি অস্ত্র ও একটি ডাকাতি মামলায় আদালত থেকে ৮৫ বছর সাজাপ্রাপ্ত হন আসামি ফারুক হোসেন। এর মধ্যে দু’টি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন তথা ৩০ বছর করে ৬০ বছর, অস্ত্র মামলার দু’টিতে ১০ বছর করে ২০ বছর এবং ডাকাতি মামলায় সিলেটের আদালত থেকে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত।

তিনিই লিভার টানেন জঙ্গি রিপনের ফাঁসি কাষ্ঠের।
 
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কয়েদি নং-৭৫৮৭, জল্লাদ ফারুক হোসেন ২৮ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। রেয়াতিসহ তার সাজার মেয়াদ হয়েছে ৩৪ বছর ১১ মাস ৩ দিন। একটি ফাঁসি কার্যকর করলে ৬০ দিন সাজা মওকুফ হয়।  

সিলেট কারাগারে এর আগে আরও ৪/৫টি ফাঁসি কার্যকর করেছেন তিনি। জেল সুপার বলেন, সিলেট কারাগারেই প্রায় ৫ বছর হলো জল্লাদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ফারুক। রাতে জঙ্গি রিপনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সময় তার সহযোগী জল্লাদ হিসেবে ছিলেন জল্লাদ জাহাঙ্গীর, জলিল, লাল মিয়া ও আলফু। তারা সবাই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। সেই সঙ্গে নতুন আরও ৬ জনকে যুক্ত করা হয়। সাজা রেয়াত পেতে তারা কারাগারে জল্লাদের কাজ বেছে নেন।  

যেসব মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জল্লাদ ফারুক: ১৯৯০ সালের ২২ মে সিলেটের সহকারী দায়রা জজ ২য় আদালত থেকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল থেকে দায়রা ৬৫/১৯৮৯ মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সেই সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন।  

১৯৯১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জকিগঞ্জ থানার একটি মামলায় (নং-৬(৫)৮৯) বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সহকারী জজ ১ম আদালত থেকে বিশেষ ক্ষমতা-২০৭/৮৯ মামলায় আরও ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বর কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় (নং-৩৪(৯)৮৭) অর্থঋণ আদালতের সহকারী দায়রা জজ আদালত থেকে দায়রা ৬৭/৯১ মামলায় ৫ বছর, ৫শ’ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড হয়।  

এছাড়া ১৯৯৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৭ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা দু’টি হত্যা মামলায় যথাক্রমে (নং-১০(১)৮৯) ও (৩(১)৮৯) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালত থেকে ৩০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। সেই সঙ্গে দুই মামলায় ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফলে সাজা রেয়াত পেতে জল্লাদের খাতায় নাম লেখান ফারুক।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এনইউ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।