এই কাজে সহযোগিতা করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন, ওয়াসা, ডেসাসহ অন্যান্য সেবাসংস্থা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি খালপাড়ে এরশাদ আমলে গড়া ‘জেলা পরিষদ মার্কেট’ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
![মান্ডা খালের নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী অংশে (জিরানী খাল) অবৈধ স্থাপনা- ছবি: কাশেম হারুন](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Nandipara-Khal0120170413113719.jpg)
এরশাদ আমলে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে গড়া পাকা মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেও এখন ভোল পাল্টে ফেলেছে জেলা পরিষদ। তারা এবার ডিএসসিসি ও ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছে।
মার্কেট কমিটিকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মমলা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত ৭ মার্চ ঢাকা জেলা পরিষদ (স্মারক নং জেপঢা/প্র:উ:৩৮/বিবিধ-৫০/২০০৮/৫০৩২) একটি চিঠি দেয় মার্কেট কমিটিকে। চিঠিতে বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়: ঢাকা জেলা পরিষেদের মালিকানাধীন মাদারটেক-নন্দীপাড়া বাণিজ্যিক বিপনী মার্কেটটি অন্যায়ভাবে ভেঙ্গে ফেলা প্রসঙ্গে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়-ঢাকা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মাদারটেক-নন্দীপাড়া বাণিজ্যিক বিপণী মার্কেটটি নন্দীপাড়া মৌজার আর.এস ০২ নং খতিয়ানের ১৮৭৫ নং দাগে রাস্তার পার্শ্বস্থ জমির উপর নির্মিত। উক্ত দাগের জমির রেকর্ডীয় মালিক পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ পক্ষে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল, বর্তমানে ঢাকা জেলা পরিষদ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদকে না জানিয়ে এবং বিনা নোটিশে অন্যায়ভাবে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা ওয়াসার যৌথ উদ্যোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মার্কেটটি ভেঙ্গে ফেলে। মার্কেটটিতে জেলা পরিষদের ২৪ হতে ৭২ পর্যন্ত ৪৯টি এবং সিড়ি কোঠা ০২টি সহ ৫১টি দোকান ছিল। মার্কেটটি ভেঙ্গে ফেলায় এ পরিষদের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ডিএসসিসি’র বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও যুগ্ম সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মজার বিষয় হলো, মার্কেট ভাঙ্গার সময় ভাঙ্গার বিরুদ্ধে তারা কোনো ভূমিকাই পালন করেনি।
মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুনাইদ খান বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি মার্কেট আমরা লিজ নিয়েছিলাম। আমরা প্রতিবছর ট্যাক্স দিতাম জেলা পরিষদে। এটাও অবৈধ মার্কেট—মর্মে মেয়রকে কেউ ভুল বুঝিয়ে মার্কেটটি ভেঙ্গে ফেলেছে। আমরা এজন্য গত ২১ মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট করেছি। আদালত ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। আমরা জেলা পরিষদ থেকে মামলা করার অনুমতি পেয়েছি, এখন ডিএসসিসি, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবো। এজন্য মার্কেটের প্রত্যেক দোকান মালিকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ওঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন ও ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এসএম/জেএম