এদিকে, প্রেমিকার বাড়ি থেকে আটক প্রেমিক আব্দুর রহিমকে (২০) উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত তিনটার দিকে নলডাঙ্গা পৌরসভার নওপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মরিয়ম খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মরিয়ম ওই মহল্লার গোলাম মোস্তফার মেয়ে এবং নলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী। আব্দুর রহিম পাবনাপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, আব্দুর রহিম রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। এক বছর আগে থেকে আব্দুর রহিম ও মরিয়মের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে প্রেমিকা মরিয়মের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার দিবাগত রাতে তার বাড়িতে দেখা করতে যায় প্রেমিক আব্দুর রহিম।
এসময় মরিয়মের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে আব্দুর রহিমকে আটক করে তার চোখের সামনে অপমান করে। একপর্যায়ে রহিমকে তারা মারধর করতে থাকে। এ দৃশ্য সইতে না পেরে অভিমান করে মরিয়ম বাড়িতে রাখা বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে রাতেই মরিয়মকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাতেই প্রেমিক আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি বলেন, যেহেতু ছেলেটা রাতে মেয়ের ঘরেই ছিল। তাই ময়নাতদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপাতত নিয়মিত মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ