বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট উদ্বোধনের পর সিসি ক্যামেরা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মেয়র আহসান হাবিব কামাল।
এসময় তিনি বলেন, ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে নাগরিক বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে ঘরে বসে সহজেই জানতে পারবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে যে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিলো, সেগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ায় পূর্ণাঙ্গ নতুন এ ওয়েবসাইটি চালু করা হলো।
সিসি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, আজ থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকার সার্বিক নিরপত্তায় ২৬১টি সিসি ক্যামেরা চালু করা হলো। যা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। আশাকরি সিসি ক্যামেরাগুলো নগরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডরোধে তাদের সহায়তা করবে।
বিদ্যুৎ পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক হয়। বিদ্যুৎ বিভাগকে তার বকেয়া পরিশোধের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করা হলে তারা সিসি ক্যামেরার সংযোগ দিতে রাজি হয়। এরপর তাদের একটি চিঠিও দেওয়া হয়।
বিদ্যুতের অভাবে এসব সিসি ক্যামেরা চালু করা যাচ্ছিলো না বলেই দাবি ছিলো বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি)। তবে সব আগাম আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বৃহস্পতিবার থেকে এসব ক্যামেরা চালু করার কথা জানিয়েছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিসিসি মেয়র ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, প্যানেল মেয়র কে এম শহীদুল্লাহ, তসলিমা কালাম পলি প্রমুখ।
বিসিসির প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বরিশাল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনাকে ঘিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর কার্যাদেশ দেয় করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নিয়মানুযায়ী ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬১টি সিসি ক্যামেরা নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনাকে ঘিরে বসানোর কাজ শুরু হয়। যেসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণে ৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও তৈরি করা হয়েছে।
তবে ২৭ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন নতুন কোনো স্থাপনায় সংযোগ দিতে চায়নি বিদ্যুৎ বিভাগ (ওজোপাডিকো)। যার মধ্যে আটকা পড়ে যায় সারফেস ওয়ার্টার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সিসি ক্যামেরা সার্ভিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
জেডএস