বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে রাজার মাঠ থেকে র্যালিটি বের করা হয়। র্যালিটি বান্দরবান শহর ঘুরে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির নেতৃত্বে র্যালিতে অংশ নেন- বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুন অর রশীদ, সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্য সা প্রু মার্মা, লক্ষ্মীপদ দাস, ফিলিপ ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মং ক্য চিং চৌধুরী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মং হ্নৈ চিং, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি হ্লা গ্য চিং মার্মা, সাধারণ সম্পাদক কো কো চিং প্রমুখ।
এছাড়া মারমা, চাকমা, বম, লুসাই, চাক, ম্রো, খুমীসহ ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির নারী পুরুষ নিজস্ব ঐতিহ্যের পোশাক পরে এ র্যালিতে অংশ নেন। এসময় তরুণ-তরুণীরা নেচে গেয়ে বর্ষবরণ র্যালিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এছাড়া তারা তাদের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সুর ও সংস্কৃতিক ভাবধারা প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজস্ব ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন। এর মধ্যে সবার নজর কাড়ে ম্রো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ম্রো নৃত্য।
পরে রাজার মাঠে সাংগ্রাই উপলক্ষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মার্মা সম্প্রদায়ের বয়স্ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ‘সাংগ্রাইমা, ঞি ঞি ঞা ঞা, রিক্জে গে পা মে’- ‘এসো মিলি সাংগ্রাই এর মৈত্রী পানিবর্ষণের উৎসবে’ ঐতিহ্যবাহী এ মারমা গানের সুরে এখন উদ্বেলিত বান্দরবান।
এছাড়া জেলা সদরের রেইছা, সুয়ালক, রাজবিলা, কুহালং এবং রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা উপজেলায় আদিবাসী মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যারা বৈসাবি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
অন্যদিকে বর্ষবরণ উপলক্ষে বান্দরবান সেজেছে বর্ণিল সাজে। বৈচিত্র্যময় বর্ষবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছেন বান্দরবানের বাসিন্দারা। এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠেছে বান্দরবান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এসআই