বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) চৈত্র সংক্রান্তির সকালে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমন প্রস্তুতির কথাই জানালেন, নওগাঁ সদর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের চাষি মনিবুর রহমান।
শুধু মনিবুর রহমানের বাড়িতেই নয়, গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সাধ্যমত চলছে বর্ষবরণের আয়োজন।
শহরের বাসিন্দাদের মতো গ্রামে বসবাসকারীরা খুব বেশি রঙ্গিন করে উৎসব পালন করেন না। কিন্তু সাদামাটা আয়োজনেও তাদের আনন্দের কমতি থাকে না। নতুন বছরের প্রথম দিনে চাষিরা মাঠে কোনো না কোনো কাজ করতে চান।
পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা নিতাই মালাকার। বংশ পরম্পরায় দেখে আসছেন পহেলা বৈশাখে গ্রামের চাষিদের আয়োজন।
ষাটোর্ধ এই চাষি বলেন, বছরের প্রতিটি দিনই কোনো না কোনো কাজ থাকে চাষিদের। সফলের মাঠে নতুন-নতুন ফসল উৎপাদনের নেশায় মত্ত থাকেন; তাই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে কাটানো সর্বাত্বক প্রচেষ্টা থাকে তাদের।
বছরের প্রথম দিনটি চাষিদের কাছে খুব গুরুত্বের উল্লেখ করে নিতাই মালাকার জানান, এ দিনে প্রার্থনা করা হয় বছরটিতে ভালো থাকার জন্য, ভালো ফসল পাওয়ার জন্য, নতুন করে শুরু করা হবে সাংসারিক কাজ। তাই সব দেনা-পাওনা পরিশোধের কাজ চলছে।
বর্ষবরণের প্র্রস্তুতি নিয়ে নিতাইয়ের স্ত্রী কৃষানি সুরেলা বলেন, বছরের প্রথমদিনে নতুন শাড়ি-কাপড় পরতে হবে। কিন্তু তার আগে পুরোনোগুলোকে পরিষ্কার করা হয়েছে। খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে। বছরের প্রথমদিনে প্রতিবারের মতো এবারও ক্ষেত মজুরদের দাওয়াত করে খাওয়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
চাষিরা বলছেন, আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ঘরে উঠতে শুরু করবে বোরো মৌসুমের নতুন ধান। তাই অনেকে গোলা ঠিকঠাক করছেন, বাড়ির ছাউনি মেরামত, কৃষি যন্ত্রপাতি ঠিক-ঠাক করে নিচ্ছেন। এভাবেই চলছে কৃষকের ঘরে বর্ষবরণ প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এসআই