ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গলপত্রপাঠ, মঙ্গলগীত, পুতুল নাচ, পালাগান, লালনগীতি, আঞ্চলিক গান, বিয়ের গীত, পান্তা উৎসব, লাঠি খেলা, পাতা খেলা, সাপ খেলা, মোরগ লড়াই, হাডুডু, ঘুড়ি উড়ানো, নৃত্য, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোকজ সংগীত, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, একক অভিনয় প্রতিযোগিতা ও নাটক।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বগুড়া থিয়েটারের পক্ষে সিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সংগঠেনর নেওয়া এসব কমসূচি সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, প্রতিদিন পৌরপার্কে গ্রামীণ ও লোকজ খেলা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩ টায়, ওস্তাদ আলাউদ্দিন মুক্তমঞ্চে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০ টায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকাল ৪টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে। উডবার্ণ অডিটোরিয়ামে প্রতিদিন চলবে প্রতি ঘণ্টায় পুতুল নাচ শো।
এছাড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে থাকবে গরদোলাসহ বিভিন্ন ধরনের স্টল। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মৃৎ আর কারুশিল্পীরা প্রত্যেক বছর এ মেলায় অংশ নিয়ে মেলাকে জীবনীশক্তি দান করেন।
তেমনি এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘রয়েল বীণা’ পুতুল নাচের দল তথাকথিত ‘ডোরেমন’ জাতীয় বিজাতীয় সংস্কৃতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির জয়গান করে যাচ্ছে এ মেলায়।
একইসঙ্গে রবিউলের সাপুড়ে বীনের তালে তালে সাপ খেলা দেখানো হবে। মেলায় আরো গ্রামীণ আমেজ আনতে এবার থেকে যুক্ত হচ্ছে যমুনার মাছ। সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে মাছ, বাঙালি আর ইছামতির টাটকা রুই, কাতল, আইড়, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির মাছ।
মিষ্টি খাগড়াই থেকে আঁচার চটপটি দোকানের পশরাও বসবে। মেলার শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্ত্বরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের স্টলে হস্তশিল্প, কসমেটিক্স, খেলনা, মাটির বিভিন্ন তৈজসপত্র পাওয়া যাবে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা প্রশাসন আয়োজিত পহেলা বৈশাখের কেন্দ্রীয় মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেবে বগুড়া থিয়েটার। সকাল সাড়ে ৮টায় পান্তা উৎসব। সাড়ে ৯টায় পাঁচ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধন করবেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু।
সিজুল ইসলাম আরো জানান, ১৯৮০ সাল থেকে শেকড়ের সন্ধানে বগুড়া থিয়েটারের যে সৃজনী যাত্রা শুরু হয়েছিল ঠিক তার এক বছর পরেই উত্তর চেলোপাড়া রেলব্রিজ মাঠে গুটি কয়েক মানুষের প্রচেষ্টায় প্রথম বৈশাখী মেলার গোড়া পত্তন হয়েছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ তা মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। বৈশাখী মেলা আয়োজনের এবার ৩৬বছর।
মেলায় জেলা, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বগুড়া পৌরসভা, ঢাকায় বৃহত্তর বগুড়া সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়া, কলেজ থিয়েটার, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে যোগ করেন সিজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস