সাময়িকভাবে অতিরিক্ত ওই টাকায় দুধ বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সরকারি চাকরিজীবীরা অতিরিক্ত ওই টাকায় দুধসহ অন্যান্য বাজার ঘাট করে বেজায় খুশি থাকলেও বিপাকে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ কর্মজীবীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাট্টিগ্রাম, বারাহিরচর, কাচারীমাঠ, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া, গোলড়া, খুনিরটেক এবং কৈট্টা বাজারের একাদিক দুধ বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা দুধের ওই চলমান বাজার দরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ধানকোড়া বাজারের দুধ বিক্রেতা কৃষক মজিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় দুধ বিক্রি হলেও গত তিন দিন ধরে তিনি ৭০ টাকা দরে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করছেন। বাজারে প্রয়োজনের চেয়ে দুধের ক্রেতা বেড়ে যাওয়ার কারণে আজ তিনি ৯০ টাকা দরে ৫ লিটার দুধ বিক্রি করেছেন।
ধানকোড়া এলাকার সরকারি চাকরিজীবী সেলিম হোসেনের পিতা আলী হোসেন জানান, ঢাকা থেকে তার ছেলে ও নাতী-নাতনীরা গ্রামে আসবে। সেই উপলক্ষে তিনি ছয় কেজি দুধ কিনেছেন।
নয়াডিঙ্গী এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী গুষ্ট সরকার জানান, বৈশাখ উপলক্ষে গত ৩/৪ দিন ধরেই দুধের দাম অনেক বেশি। এতে মিষ্টি, দই ও রসমালাই তৈরি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
দুধের বাজার চড়া হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানিরা। অধিকাংশ দোকানে বন্ধ রয়েছে দুধ চা বিক্রি।
এ অবস্থা আরো ৩/৪ থাকবে বলে জানান নয়াডিঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকার চা বিক্রেতা গোপাল সরকার।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সহকারী পরিচালক ইফতেখার আল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, গরুর দুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোন পণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি করার কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ওই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
জেডএম/