বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চিড়িয়াখানার সামনে যেয়ে প্রায় দুই শতাধিক বাসকে বসে থাকতে দেখা যায়। অলস সময় কাটাচ্ছেন চালক ও সহযোগীরা।
নূর-এ-মক্কা পরিবহনের প্রায় ৩০টি বাসই বসে আছে এখানে। চালক আতিক বাংলানিউজকে বলেন, সুখের সংসার চলতেছিল। হঠাৎ করে ভেঙে দিলো সরকার। এখন ঝামেলা যাত্রীদের সঙ্গে, গাড়ি চালাই না।
চিড়িয়াখানার সামনের বিক্রেতা সুলেমান বলেন, হলুদ রংয়ের নূর-এ-মক্কা একদমই চলছে না। অন্য বাসগুলো কিছু সংখ্যক চলছে। এই বাসটি মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ি রুটে চলাচল করে।
তানজিল বাসেরও প্রায় অর্ধশত বাস এখানে বসে রয়েছে। কয়েকটির বাম্পার খোলা হলেও বেশিরভাগেরই এখনও বাম্পার রয়েছে। চালক রফিক বাংলানিউজকে বলেন, বাম্পার নিয়ে আমাদের আপত্তি নাই। বাম্পার লাগায় বাসগুলো প্রতিযোগিতা করার জন্য। সাবধানে চালালে আর বাম্পার লাগে না। তবে সব বাস লোকাল বানানো ঠিক হয় নাই।
সিটিংয়ে ভাড়া বেশি রাখলেও যাত্রীরা শান্তি পেতেন বলে দাবি করেন ওই চালক।
তবে ফার্মগেটগামী যাত্রী শহীদুল বাংলানিউজকে বলেন, বাস মালিক ও শ্রমিকরা রীতিমতো মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারকে বাধ্য করছে আগের নৈরাজ্যে ফিরে যেতে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ