হতাশা ব্যক্ত করে এমনটি জানালেন বিশ্বম্ভরপুরের সালামপুর গ্রামের শাহজালাল অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী সফর আলী। এমন অবস্থা সুনামগঞ্জের প্রতিটি রাইস মিলের।
সফর আলী বাংলানিউজকে বলেন, “ইবার আমার মিলে একবারে ধান নেই। আমার কর্মচারীরা বসে খাচ্ছে। গত বছর এমন দিনে ধানে ভরা ছিল মিল। কিন্তু ইবার সব হাওর পানির নীচে। মানুষের খাওয়ার ধান নাই, বেঁচবো কিতা?”
শাহজালাল রাইস মিলের মেশিনম্যান মোস্তফা মিয়া বলেন, “এবার মানুষ মেহনত করেও ধান নেই। সব আওরের (হাওর) ধান পানতে লই (নিয়ে) গেছে, মিলে ধান আইবো কী করে?”
ইউনিয়নের মুক্তির বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করচার হাওরের দশের দাগ, মালেকের কাটা, ৫২ দাগ, ৫৪ দাগ। লালপুর হাওরাঞ্চলের ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় সোনাপুর গ্রামের কৃষক বুরহান উদ্দিন বলেন, “দশের দাগ, জরাবনি ও পাত্তরের দারায় ১২ কেদার জমিতে ধান চাষ করি। প্রতি বছর খাওয়ার ধান রেখে বিক্রি করতে পারি, এবার বাঁধ ভেঙে সব ধান পানিতে তলিয়েছে। সংসারে আমার সাতজন লোক। কীভাবে চলমু চিন্তা করে পাই না। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এনইউ/এমজেএফ