মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে নুরুল আমিন নামে (৪২) ওই মেম্বারকে উদ্ধার করা হয়।
পরে রাতেই তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী।
আহত নুরুল আমিন ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও চরমনসা গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে। গ্রাম পুলিশ মো. ফারুক (৩৫) একই গ্রামের সুলতান চৌকিদারের ছেলে। অভিযুক্ত মো. শাহজাহান একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
আহত গ্রাম পুলিশ ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গ্রামে চুরি-ডাকাতি হচ্ছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় চোর সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জ বাজারে সালিশ বসে। সালিশে পার্শ্ববর্তী গ্রামের শাহজাহান লোকজন নিয়ে হামলা করে আটককৃতদের নিয়ে যায়। এসময় আমাকে মারধর করে নুরুলকে তুলে নেয়।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, তার ৮ বছরের ভাগিনা বেলালকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সালিশ করেন নুরুল। এসময় তার ভগ্নিপতি ও বোনকে ঘটনাস্থলে অপমান করা হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতহাতি হয়।
তবে গ্রাম পুলিশকে মারধর ও ইউপি সদস্যকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলু বাংলানিউজকে জানান, আমি ঢাকায় রয়েছি। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। ঢাকা থেকে ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
আরআর/এইচএ/