বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বিআরটিএ’র বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান।
সিটিং সার্ভিসকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে চাই উল্লেখ করে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, সিটিং সার্ভিস নিয়ে কারও কোনো আবেদন থাকলে জমা দিতে পারেন।
সভায় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, বিবেকের তাড়নায় সিটিং বন্ধ করেছিলাম। ঢাকায় যদি সিটিং সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা সবাই উপলব্ধি করেন তাহলে সেক্ষেত্রে একটা আইনগত কাঠামো দিয়ে চলতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি যাত্রীরা যদি উপলব্ধি করে সিটিং সার্ভিস থাকা দরকার, তাহলে সেটা কি ক্যাটাগরিতে হবে, সেক্ষেত্রে কি কি করা উচিত তা করা হবে। সে আলোচনার মধ্যে সাংবাদিক প্রতনিধি যারা এই বিট কাভার করেন তাদেরও রাখা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গত চার দিনের নৈরাজ্য নিয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমার জানামতে একটি গাড়ি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির গাড়ি রাস্তায় ছিলো। তবে ২০ ভাগ গাড়ি কাগজপত্র জঠিলতায় রাস্তায় নামেনি। আর যে কোম্পানি গাড়ি বন্ধ রেখেছে ওই কোম্পানির গাড়ির সংখ্যা প্রায় ২০০।
তিনি আরও বলেন, এখন ভালো কিছু পাওয়ার জন্য কয়েকদিন সিটিং চলবে।
বিআরটিএ’র ওই সভায় সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান সিটিং সার্ভিস থাকার প্রয়োজনীয় রয়েছে বলে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একটি বাস স্ট্যান্ডিং যাত্রী না নিলে তার ভাড়াটাতো একটু বেশি হবেই। এটা একটা আলাদা সার্ভিস হিসেবে থাকা দরকার, নাগরিক হিসেবে এটা আমি মনে করি’।
সিটিং সার্ভিস রাখার জন্য স্ট্রংলি রিকমেন্ড করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর জন্য কিভাবে ভাড়া ঠিক হবে তার একটি আইনি কাঠামোতে আনতে ১৫ দিনের মধ্যে বসতে হবে। এতে পরিবহন বিট যেসব সাংবাদিক কাভার করেন তাদের প্রতিনিধিও রাখতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭ (আপডেট সময়: ০০২০ ঘণ্টা এপ্রিল ২০)
এসএ/জেডএস/জিপি