বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত উপকূলীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপালের কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্পগুলোর প্রভাবে দক্ষিণ জনপদের পাঁচ কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। যে কারণে অবিলম্বে এ ধরণের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির খুলনার সংগঠক ডা. মনোজ দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা আহবায়ক এস এ রশীদ এবং সদস্য সচিব মোস্তফা খালিদ খসরু।
মহাসমাবেশে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, জোনায়েদ সাকি, বহ্নিশিখা জামালী, শুভ্রাংসু চক্রবর্তী, সামছুল আলম, মোশাররফ হোসেন নান্টু, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, নাছির উদ্দিন নাসু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলা উপজেলা পর্যায়ে সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ, মে মাসে সুলভ, পরিবেশ বান্ধব, ঋণ বা অপচয়মুক্ত বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে সরবরাহের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন ও দেশব্যাপী তা নিয়ে জনমত গঠন, ১৫ জুলাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টেকসই, পরিবেশ বান্ধব, কর্মসংস্থান নির্ভর উন্নয়নের পরিকল্পনা উপস্থাপন, ২৫ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে শরণখোলা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে মানববন্ধন ও তার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশে-বিদেশের সংহতি কর্মসূচি এবং ৯ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন আন্দোলনে যুক্ত সকল দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, সংগঠন ও ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সুন্দরবন কনভেশন।
সমাবেশে বলা হয়, এরপরও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প বাতিল করা না হলে দেশব্যাপী হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ভারত ও আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার সহায়তায় প্রকল্প বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এমআরএম/বিএস