শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পর্যটন সংস্থা ‘উই এশিয়া’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ভারত, নেপাল ও মায়ানমার; এ ছয়টি দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে উই এশিয়া।
রাশেদ খান মেনন বলেন, নেচার, কালচার, অ্যাডভেঞ্চার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অভিন্নতা দিয়েছে। তাই ট্যুরিস্ট ডেসটিনেশন হিসেবে এ রিজওনকে প্রমোট করতে অভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে নিরবচ্ছিন্ন প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য বৈদেশিক নীতি, ভিসা প্রক্রিয়া পর্যটকবান্ধব হতে হবে।
অন্যদিকে স্বল্প খরচ ও স্বাচ্ছন্দ্যে নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ জরুরি। বিশ্ব অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের গুরুত্ব অনেক। তাই এসব বিবেচনায় নেওয়ার এখনই সময়- যোগ করেন পর্যটনমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ অভিন্ন আবেগ ও অনুভূতিকে ধারণ করে। রাজনৈতিক সীমানা এ আবেগকে আটকাতে পারে না। সারাবিশ্ব এখন এক ও অখণ্ড। তাই এ অঞ্চলের দেশগুলোকে যেকোনো সফল উদ্যোগ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
উই এশিয়া’র অন্যতম উদ্যোক্তা ও পর্যটন প্রতিষ্ঠান জার্নপ্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, ইউরোপের কোনো পর্যটক এ ছয়টি দেশের মধ্যে যেকোনো একটি দেশে ঘুরতে আসলে, কিছু খরচ দিয়ে আরো দু’টি দেশ ঘুরতে চায়। কিন্তু এতে পর্যটকদের অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। উই এশিয়ার মাধ্যমে একজন পর্যটককে ওয়ানস্টপ সেবা দেওয়া হবে। এতে আঞ্চলিক পর্যটনেরও প্রসার ঘটবে।
অনুষ্ঠানে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব (টোয়াব) সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, উই এশিয়ার পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি সত্য প্রদ দেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
ইইউডি/জেডএস