শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রাওদার বাবা। এ সময় আবারও এ অভিযোগ করেন ডা. মোহাম্মদ আতিফ।
তিনি বলেন, তার মেয়ের গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহ্ন রয়েছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের সময় মরদেহের এক্স-রে করা হয়নি। এক্সরে করা হলে হত্যার চিহ্নগুলো আরও পরিষ্কার হতো। কিন্তু তা করা হয়নি। কারণ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে।
ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা কলেজকে সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, রাওদার বান্ধবী সিরাত পারভিন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কারণ রাওদার মৃত্যুর এক ঘণ্টা পর তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। সেখানকার কললিস্ট থেকে সিরাতের কথোপকথন মুছে ফেলা হয়েছে। সিরাতের কাছে রাওদার ইনস্টাগ্রাম পাসওয়ার্ড ছিলো। তা না হলে এটি সম্ভব নয়। কাশ্মীরের নাগরিক সিরাত মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে রাওদাকে ঘুমের ওষুধও খাইয়েছিলো বলেও তিনি জানান।
কেনো রাওদাকে হত্যা করা হলো প্রশ্নে ডা. আতিফ বলেন, এটা বের করার দায়িত্ব পুলিশের। কে এবং কারা কি উদ্দেশে রাওদাকে হত্যা করেছে এটি বের করার দায়িত্ব পুলিশের। হত্যা মামলার পর তারা সে কাজটি করছেন বলেই তার বিশ্বাস।
তিনি এ সময় আবারও জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি একজন বাবা না, চিকিৎসক হিসেবে বলছি, এটা (রাওদার ঘটনা) আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড’।
এর আগে গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাওদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা রাওদা আতিফের কক্ষ থেকে গত ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সিলিং ফ্যান ও কলেজের সিসিটিভির ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন পুনঃতদন্তের জন্য তার মরদেহ উত্তোলনের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএস