ঢাকা, শনিবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ

বেনাপোল (যশোর): দেশের সর্ববৃহ‍ৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি পণ্য পাচার প্রতিরোধ ও বন্দরের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বন্দরে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

সংশিষ্টরা মনে করছেন নিয়মিত এধরনের প্রশিক্ষণ বন্দরের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

পাশাপাশি বাড়বে নিরাপত্তাও।

স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, আমদানি পণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বন্দরে অগ্নিনির্বাপক, চুরি প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ ও নিরাপত্তা কর্মীদের আত্মরক্ষার বিষয়ে নতুন নতুন কৌশল শেখানো হচ্ছে।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার। মাত্র ৩ ঘণ্টায় একটি পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে পৌঁছাতে পারে কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে এপথে ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে প্রবল আগ্রহ রয়েছে।

প্রতিবছর এপথে ভারত থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু এ বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রথম থেকেই রয়েছে ব্যবসায়ীদের নানান ক্ষোভ। পণ্য চুরি, অগ্নিকাণ্ড এমন কি নিরাপত্তার কর্মীদের কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছিল।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল বন্দরে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল মজুদ থাকে। বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা সজাগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।

আগামী দিনে যাতে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে ব্যবসায়ীদের মালামাল সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়ে বন্দরের প্রকৌশলীদের সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরে কর্মরত বাংলাদেশ স্থলবন্দর ইমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে যারা এখানে বন্দর পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে কখনো এভাবে দিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়নি। আমরা আশা করছি এই পদক্ষেপ সুষ্ঠ‍ুভাবে বাণিজ্য পরিচালনার সার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) খোরশেদ আলম, আনসার ব্যাটালিয়নের (পিসি) রফিকুল ইসলাম, নিরাপত্তা সংস্থ‍া কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক অহেন্দ্র কুমার দেবনাথ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এজেডএইচ/জিপি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।