স্থানীয়রা জানান, সকালে হঠাৎ করেই শনির হাওরের সাহেব নগর পূর্বপাড় ও লালুর গোয়ালা পয়েন্ট এর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত হাওরের অর্ধেক অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের তাহিপুরের শনির হাওর ও জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর ছিল ভাসমান অবস্থায়। কিন্তু আজ শনির হাওরে কৃষকদের বাঁধ রক্ষার সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে হাওরটিতে। শনির হাওরের অনেক কৃষক আশায় বুক বেধে ছিলেন যে তাদের এই হাওরটি পানি থেকে রক্ষা পাবে। কিন্তু আজ সকালে অতি বৃষ্টির কারণে বাঁধ ভেঙে ৫০টি গ্রামের কৃষকদের স্বপ্ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি এই হাওরের বাঁধ রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমি নিজেও একদিন আগে ওই হাওর পরিদর্শন করেছি। বাঁধগুলোর যে নিচু জায়গা দিয়ে পানি ঢুকছিল সেই দিকে আমরা ৭০ বস্তা বালু ফেলে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্ত এখন বাঁধটি ভেঙেছে অন্য জায়গায়। আমাদের শেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে পানির চাপ খুব বেশি থাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে।
এখন সুনামগঞ্জে শুধু জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরটি কোনো রকমভাবে টিকে আছে। এই হাওরে পানি ঢুকে গেলে সুনামগঞ্জে আর কোনো হাওরে ধান থাকবে না। এটিই একমাত্র হাওর যেটাতে এখনো পানি ঢোকেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
আরএ