রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এইদিন
বেলা ১২টার দিকে শফিকুল ইসলাম (২০) ও উদয় চন্দ্র (৩০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়।
রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম জানান, নিহত মুকুলের শরীরের ৮৯ শতাংশ, শফিকুলের ৯৫ শতাংশ ও উদয়ের ৯৩ শতাংশ দগ্ধ ছিলো। এছাড়া চিকিৎসাধীন বাকি রোগীদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বিস্ফোরণের দিন গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ধান ছাঁটাইয়ের কাজ চলছিলো যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে। দুপুরে মিলের বয়লার প্রচণ্ড গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৩০ জন দগ্ধ হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে ২১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে শনিবার রাত পর্যন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক অঞ্জনা দেবী, মোকছেদ আলী, আরিফুল হক, রুস্তম আলী ও মোছাদ্দেক নামে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া রোববার সকাল ১০টায় রনজিৎ নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। বেলা ১২টার দিকে আরও দু’জনকে মৃত্যু হয়। বিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুকুল নামে আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া ওই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- মুন্না (৩২), শরিফুল (৩০), মুকুল (৪৬), উদয় (৩০), এনামুল (৩৫) শফিকুল (২০), দেলোয়ার (৪০), সাইদুল (৪০), বাদল (৩৫) বীরেন (৩০) ও আনিছুর (৩৫)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
ওএইচ/জেডএস
** দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
** দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
** দিনাজপুরে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪