দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লেকের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা টিনশেড ঘর, দোকান, বাজার বসিয়ে ব্যবসা করছিল স্থানীয়রা। রোববার (২৩ এপ্রিল) সকালে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এসব স্থাপনা।
হাতিরঝিল থেকে গুলশান-বারিধারা লেক দিয়ে ৫০ ফুট রাস্তা করা হবে। লেক ড্রাইভ নির্মাণ করা হলে গুলশানের যানজন অনেকাংশে কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
টিনশেড বাড়ি, বাজারসহ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও লেকে ড্রাইভের মাঝখানে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে মরিয়ম টাওয়ার। যেটিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিষফোঁড়া বলে মন্তব্য করেছেন। ছিন্নমূল গরীবদের ঘরবাড়ি ভাঙা হলেও ভাঙা হচ্ছে না মরিয়ম টাওয়ার। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মশিউর রহমান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘যে রাস্তা করতে যাচ্ছে তার উপরেই মরিয়ম টাওয়ার। রাস্তা যদি করতে হয়, মরিয়ম টাওয়ার আগে ভাঙেন, মরিয়ম টাওয়ার ভাঙলে লেকের পাড় এমনিতেই খালি হয়ে যাবে’।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘মরিয়ম টাওয়ার এতো বড় ভবন সরকার এটা দ্যাহে না। ওটা কি সরকারে অংশ। মরিয়ম টাওয়ার যদি সরকারের অংশ হয়, এটা আমার অংশ, এটা ভাঙা যাবে না’।
যেসব স্থাপনা ভাঙা হচ্ছে সেগুলোকে অবৈধ বলতে নারাজ মশিউর রহমান। তিনি বলেন, আমি অবৈধ বলবো না। আমি খাজনা দেই অবৈধ হবে কেন? কিছু জায়গা আছে লেকের জায়গায় পরেছে, সেটুকু তো ছেড়ে দিচ্ছি। মরিয়ম টাওয়ার-১ রাস্তার মাঝখানে পড়েছে।

তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দুই কাঠা জায়গা চলে যাচ্ছে। মরিয়ম টাওয়ারের জন্য রাস্তা সোজা না হয়ে আমার বাড়ির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা কি অপরাধ করেছি। আমাদের টা ভাঙা হচ্ছে মরিয়ম টাওয়ার কেন ভাঙছে না।
সরেজমিনে দেখা যায় গুলশান-বারিধারা লেক ড্রাইভের মাঝখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে বহুতল ভবন। স্থানীয়দের দাবি মরিয়ম টাওয়ার না ভেঙে রাস্তা করলে তাতে অনেকের বাড়ি চলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসএম/বিএস