যদিও পুলিশ দেওয়ার বিষয়টি নীতিগত অনুমোদন হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকে পুলিশ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।
রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়।
বৈঠকে ফুটপাত উচ্ছেদ বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘আমাকে দু’শ’ পুলিশ দেন, যেভাবে ফুটপাত চান সেভাবে হবে। ’
সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের সভাপতি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বরাষ্ট্র সচিবের নীতিগত সমর্থন চান। সচিব সমর্থন দেওয়ার পর মন্ত্রী একটি আন্ত্রঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকে পুলিশ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের জন্য ১০০ করে ২০০ পুলিশ ও রাজউকের জন্য আরও ১০০ পুলিশ দেওয়া হবে।
এ পুলিশ সদস্যরা সিটি করপোরেশন ও রাজউকের নিজস্ব বাহিনী হিসেবে দখলমুক্ত ও উচ্ছেদ অভিযানে থাকবেন।
এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন নগর ভবনের পাশে ফুটপাত উচ্ছেদ নিয়ে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনিও নিজস্ব পুলিশ চাওয়ার বিষয়টি সভায় পরোক্ষভাবে তোলেন।
বৈঠকে ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনও। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক তার সঙ্গে গুলশানের মরিয়ম টাওয়ার উচ্ছেদ নিয়ে প্রয়োজনীয় আলাপ সারেন।
পরে আনিসুল হক বলেন, গুলশানে মরিয়ম টাওয়ার উচ্ছেদ হবে। এইমাত্র গণপূর্তমন্ত্রী আরও জানালেন, তিনি সেখানে গুলশানের সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্রিজ করে দেবেন।
মেয়র আরও জানান, মরিয়ম টাওয়ারের পাশের রাস্তাটি ৫০ ফুট। এ রাস্তা ব্যবহার করে গুলশানে চলাচল সহজ হবে। মানারত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে গুলশানে প্রবেশ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এসএ/জেডএস