শাজাহান খান বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে, ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তান তা করেনি।
পাকিস্তান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সাহিত্যকে গলা চেপে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পাওয়া পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে বানচাল করার চেষ্টাও করছে। তারা এখনো থেমে নেই। এই অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমি যখন দেখি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের ক্রিকেট খেলা হয় তখন আমাদের তরুণ-তরুণীরা নিজদের গালে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে উল্লাস করে। এটি আসলেই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক।
সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতার কথা উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ হচ্ছে একটি মতবাদ। এই মতবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের তরুণ সমাজকে নিয়ে এগোতে হবে। তাদের সচেতন ও তৈরি করতে হবে জঙ্গিবাদ নির্মূলে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, মুখ্য উপদেষ্টা কবি আজিজুর রহমান ও শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক ড. মহুয়া মুখার্জি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এমএ/এমজেএফ