বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জঙ্গি আস্তানার দায়িত্বে থাকা শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাতে ওই বাড়ি থেকে শব্দ পাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ৭-৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল শিবপুরে করা পুলিশ ট্যান্টে দু’জন ডোম নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হচ্ছেন-শিবগঞ্জের দদান চকের ফজলুল হক প্রাইমারি টিচার্স ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডোম ফাস্ট ভগবৎ ও শিবগঞ্জ পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী স্বপন ভগবৎ।
ডোম ফাস্ট ভগবৎ বাংলানিউজকে জানান, শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সকালে তাদের এখানে নিয়ে এসেছেন। তবে এখানে ঠিক কী কাজ আছে তা বলেন নি বলে জানান এ ডোম।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের এ গ্রাম বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত থেকে কর্ডন করে রাখা হয়েছে।
অপারেশন 'ঈগল হান্ট' শুরুর পর প্রথম দফার অভিযান বুধবার রাত সোয়া ৮টায় স্থগিত করে স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) টিম। এর আগে বিশেষ এ বাহিনীটির সদস্যরা বুধবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শিবনগর পৌঁছায়। এ সময় তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
প্রথম দফার অভিযান শেষে বুধবার রাতে সোয়াটের উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার জানান, রাতের মতো অভিযান সমাপ্ত। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করা হবে। রাতে আমরা ভেতরে ঢুকতে পারিনি। সকালে ভেতরে না ঢোকা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো হতাহতের তথ্য বলা যাচ্ছে না। তবে অভিযানে আপাতত কোনো আটক বা উদ্ধার নেই।
এদিকে, রাতের অভিযানের পর বর্তমানে ওই বাড়িসহ আশপাশের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সোয়াট টিম ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালেই শুরু হতে পারে অপারেশন ঈগল হান্টের দ্বিতীয় পর্যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এটিএম মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী থেকে তিন প্লাটুন বিশেষ ফোর্স ঘটনাস্থলে রয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে সোয়াট টিম এসেছে। এখন অভিযান তারাই পরিচালনা করছে। পুলিশ কেবল তাদের বাইরে থেকে সাপোর্ট দিচ্ছে। অভিযান শেষ হলে তারা সোয়াটের কাছ থেকে ওই বাড়ির দায়িত্ব বুঝে নিবে। আপাত নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়িটির আশপাশে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এসএস/জেডএস