বুধবার (২৬ এপ্রিল) বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে তোলা কয়েকটি হ্যাচারি ঘুরে মাছের ডিম থেকে রেণু উৎপাদনের এমন চিত্র দেখা যায়।
হ্যাচারির চিকিৎসক মো. পানজু শাহ বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে ব্রুড (মা মাছ) পুকুর থেকে সংগ্রহ করে সার্কুলারে রাখা হয়।

নির্ধারিত সময় পর বোতল থেকে তা আবার সার্কুলারে রাখা হয়। সার্কুলারে ৭২ ঘণ্টা রাখার পর সেই ডিম পরিণত হয় রেণুতে। পাশাপাশি তা বিক্রির উপযোগী হয়।
তিনি আরও জানান, এখানে সাধারণত রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, ব্লাক কার্প, বিগহেড, বাটা, পুঁটি, কালিবাউশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু উৎপাদন করা হয়। এসব রেণু সরাসরি ব্যাপারীরা কেনেন। রেণু নিয়ে তারা ছাড়েন ছোট পুকুরে। এক সময় সুস্বাদু মাছে পরিণত হয়।

জেলা মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে মোট ৯৮টি মাছের হ্যাচারি গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি হ্যাচারি রয়েছে দু’টি। এসব হ্যাচারিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু উৎপাদন করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওশন আরা বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ অথবা মার্চের প্রথম থেকে হ্যাচারিগুলোতে রেণু উৎপাদন শুরু করা হয়। জুন-জুলাইয়ে সর্বোচ্চ রেণু উৎপাদন হয়।

তবে সবকিছুই নির্ভর করে তাপমাত্রার ওপর। তাপমাত্রা অনুকূলে থাকলে ভালো মাত্রায় রেণু উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বছর এখানকার হ্যাচারিগুলোতে উৎপাদিত রেণু এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য এলাকায় যায়। যোগ করেন রওশন আরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/এএ