শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ওই উপজেলার মুনিষগাঁও গ্রামের সিরাজ মাস্টারের বাড়ির খড়ের গাদার ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহকর্তা সিরাজ (৬৫), আব্দুল মজিদ (৪৫), শান্ত (১৮), রিপন (২০), গোপাল (৩০) ও রাজুসহ (৩৮) আটজনকে আটক করা হয়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে মুনিষগাঁও গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে তুষারকে অপহরণ করা হয়। পরে দুপুর ২টার দিকে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা কোথায় পাঠাতে হবে জানতে চাইলে তারা ফোন বন্ধ করে দেন। পরে অনেকবার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনটি আর খোলা পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মুনিষগাঁও গ্রামের সিরাজ মাস্টারের বাড়ির আশপাশ থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা এর সূত্র খুঁজতে থাকে। পরে তার বাড়ির খড়ের গাদার ভেতরে শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল সেটি মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) তুষারের নানীর বাসা থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
আরবি/আরএ