শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বাড়িটি সিলগালা করার আগে নিহত চার জঙ্গি মরদেহ বের করা হয়। সকাল থেকে বাড়িতে চলছিল বোম ডিসপোজাল ইউনিটের কার্যক্রম।
বর্তমানে শিবনগরে সুনসান নীরবতা। এতোটা ঘনবসতির এলাকা না হওয়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়া আর স্থানীয়দের দেখা যাচ্ছে না। তারাও বাসা থেকে বের হচ্ছেন কম।
বাড়িটির ভেতর থেকে তারা অনেক কিছুর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এছাড়া জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবু (৩৭) ছাড়াও বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টি এম মুজাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ হস্তান্তর এবং দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে আসবে। আবুর মা মরদেহ যদি নিতে চান, তা পরে বিবেচনা করা হবে। তার সময় এখনও আসেনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) পরিচালিত ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করে ব্রিফিং করা হয়। কথা বলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন।
ডিআইজি বলেন, দেশের অন্য জঙ্গি আস্তানাগুলোর তুলনায় এই আস্তানার অভিযানটি একটু আলাদা। আমরা অভিযান চলাকালে একাধিকবার জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এই অভিযানে একজন নারী ও একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সাফল্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এসএস/আইএ