শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে চারটি মরদেহ বের করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, সিলগালা করার আগে বাড়ির ভেতর থেকে অনেক কিছুর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়েছে ক্রাইম সিন ইউনিট। নিহত বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের জন্যও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওই বাড়ির মালিকের চাচাতো ভাই সাদিকুল ইসলাম কাজল বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে মরদেহ শনাক্ত করতে তাকে এবং একই এলাকার মনিরুল ইসলামকে ডাকেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) টিএম মুজাহিদুল ইসলাম। তারা দু’জনে মিলে কেবল আবুর মরদেহই শনাক্ত করতে পারেন। আত্মঘাতী বোমায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অন্য তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন তারা।
এর আগে, শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। ওই বাড়িতে কোনো বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন তারা। দুপুর পর্যন্ত কোনো বিস্ফোরক উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সকালে আবুর মা ফুলসানা বেগম জানান, প্রশাসন চাইলে তিনি তার ছেলে আবুর মরদেহ নিতে চান। কিন্তু দুপুরে ময়নাতদন্তের পর সাংবাদিকরা তার বাড়িতে গেলে মরদেহ না নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।
ফুলসানা তখন জানান, তার স্বামী বাড়িতে নেই। আবুর শ্বশুরও পলাতক। তাই দাফনের জন্য কোনো জনবল না থাকায় ছেলের মরদেহ নিতে চান না।
এদিকে, অভিযানকালে আস্তানা থেকে বের করে আনা আবুর স্ত্রী সুমাইয়া বেগম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং ছোট মেয়ে সুরাইয়া ইসলাম সাজেদা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ওই আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর সেদিন সন্ধ্যায় এবং বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াট। সন্ধ্যায় অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেখানে চার জঙ্গি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এসএস/এইচএ/