তবে বিপত্তি শুধু একটি জায়গায়। ভবনের সরু গলিপথে ফটকের সামনের কয়েকটি চায়ের স্টলকে ঘিরে জমে বখাটেদের আড্ডা।
তারা বলেন, বৃহস্পতিবার-শুক্রবার গ্রন্থাগার বন্ধ, তাই আড্ডাও নেই। সপ্তাহে যে পাঁচদিন খোলা থাকে, দলে দলে বখাটেরা এখানে অবস্থান করেন। তরুণীদের দেখলে উত্যক্ত করেন। তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলে বাধা দেন না। এখানকার ভ্যানে বসা চা দোকানিদেরও তুলে দেওয়া যায় না বখাটেদের জন্যই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশেপাশের লোকজন বলেন, ‘আগে বখাটেদের আড্ডা কম ছিল। কিছু বখাটে গ্রন্থাগারের অদূরে স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় আড্ডা দিতেন। স্থানটি জনাকীর্ণ হওয়ায় এখন তাদের অবস্থান এই গলিতে।
তারা বলেন, তরুণীদের দেখলেই শুরু হয় বখাটেদের সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়া এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। ধোঁয়ায় এ স্থান দিয়ে হাঁটা-চলা যায় না।
গণগ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কখনো কোনো ভূমিকা নেয় না বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
গ্রন্থাগারের গলির চায়ের দোকানি বালাগঞ্জের প্রভাত কান্তি বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইব্রেরির কার্যক্রম চললেও দোকান চালাই রাত ১১টা পর্যন্ত’।
রাত-বিরাতে তাদের ব্যবসা বখাটেদের ঘিরে- এমন ইঙ্গিতও দেন তিনি।
সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের কামাল উদ্দিনও জানান, বছর পাঁচেক ধরে এ গলিতে তার চায়ের ব্যবসা গ্রন্থাগারকে ঘিরে।
কাস্টমার কারা জানতে চাইলে আমতা আমতা করে বলেন, ‘এইতো ভাইয়েরা এখানে আসেন, বাইরের লোকজনও আসেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এখানে দোকানদারি করি’।
গলির মুখেই আমজাদ হোসেনের চায়ের স্টল। বছরখানেক আগে থেকে তিনি এখানে ব্যবসা করছেন। প্রতিদিন হাজার-পনেরশ’ টাকার চা, পান-সিগারেট বিক্রি করতে পারেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এনইউ/এএসআর