এরই মধ্যে আক্কাসের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন নোমান আহমদ নামে এক ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, নোমান কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে কামিনীগঞ্জ বাজার ফুলতলা রোডের ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেনের (আক্কাস) শরণাপন্ন হন।
এরকম আরও ‘ভূয়া এমবিবিএস’ ডাক্তারের উদ্ভব এবং জুড়ী উপজেলাবাসীকে প্রতারণা থেকে রক্ষা করতে নোমান ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগটির অনুলিপি তিনি মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকেও দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর শাখাওয়াত হোসেন আক্কাসের প্রদত্ত ব্যাবস্থাপত্রে তার পদবী ডি.ফার্ম (ঢাকা), ভি,এইচ,এফ,এ (চট্টগ্রাম) ছিলো। আর ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তা এমবিবিএস (এ.এম) হয়ে যায়।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মহী উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মেডিকেল শিক্ষায় ৭৩ দিনে এমবিবিএস ডাক্তার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন আক্কাস বাংলানিউজকে জানান, তিনি কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস (অলটারনেটিভ মেডিসিন) বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তবে তিনি বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত নয় বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) বর্নালী পাল মোবাইলে বাংলানিউজকে বলেন, তার নিজের বদলি সংক্রান্ত জটিলতায় বিষয়টির তদন্ত করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এনটি/বিএস