লাইব্রেরিটির অবস্থান একে তো উপজেলা শহর থেকে দূরে, তারওপর রাস্তাঘাটের দশা বেহাল।
তাই ভালো চেয়ার-টেবিল, শান্ত পরিবেশ, নির্মল হাওয়ায় পর্যাপ্ত বই পড়ার সুযোগ থাকলেও পাঠক পাওয়া যাচ্ছে না।
ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের জন্মস্থান গফরগাঁও থানার পাচুয়া এলাকায় তার স্মৃতি সংরক্ষণ, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বাংলা ভাষার চেতনা ও ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য গড়া হয় ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করে এলজিইডি মন্ত্রণালয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাচুয়া (বর্তমানে জব্বার নগর) গ্রামের কিছুটা ভেতরে ৪০ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত এই গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে শেলফে থরে থরে সাজানো রয়েছে চার হাজার এক’শ ত্রিশ (৪১৩০)টি বই। যার মাঝে রয়েছে অনেক দামি ও পুরাতন মূল্যবান বই। কিন্তু আব্দুল জব্বারের ব্যাবহৃত কোন জিনিস-পত্র না থাকায় যাদুঘর করা সম্ভব হয়নি, যার পরিবর্তে পুরো জায়গাই গ্রন্থাগার হিসেবে রাখা হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই পাঠাগারটি। এই ৮ ঘণ্টায় লোকজন আসে মাত্র ১২/১৫ জন। কিন্তু তারাও বই পড়ার জন্য আসেন না, দেখতে আসেন। পাঠক না থাকায় বইয়ের সেলফে হাত দেওয়ারও প্রয়োজন হয়না বহুদিন। আগে নিয়মিত পত্রিকা রাখা হলেও পাঠক না থাকার অযুহাতে এখন আর পত্রিকাও রাখা হয় না।
জাদুঘর ও গ্রন্থাগার দেখভাল ও পরিচালনা করার জন্য লাইব্রেরিয়ান, সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও পিয়নসহ মোট ৫টি পদ সৃষ্টি করা হয়, কিন্তু বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন একজন কেয়ারটেকার ও একজন লাইব্রেরিয়ান। তবে পাঠক ও দর্শনার্থী না থাকায় এখানে তাদের সারাদিন শুয়ে বসে সময় কাটাতে হয় বলে জানান তারা।
একমাত্র লাইব্রিয়ান কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, খারাপ রাস্তাঘাট হওয়ার কারণেই এখানে পাঠক নেই।
** বই থাকলেও পাঠকশূন্য গফরগাঁওয়ের জব্বার লাইব্রেরি
** রঙের আড়ালে জরাজীর্ণ গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
** সবুজ ছায়া ঘেরা পরিবেশে উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি
** সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য মাত্র ২৫২!
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
ডিআর/ জেডএম