ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এসি সরফরাজের জানাজা দুপুরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এসি সরফরাজের জানাজা দুপুরে

রাজশাহী: ময়নাতদন্ত শেষে সহকারী কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের প্রথম জানাজা রোববার (৩০ এপ্রিল) বাদ জোহর পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এসি সরফরাজের বাবা রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি এম ওবাইদুল্লাহ মহানগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এসি সরফরাজের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে তারাই ময়নাতদন্ত করছেন। ময়নাতদন্ত শেষ হলে বাদ জোহর রাজশাহী পু্লিশ লাইন মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার মরদেহ কোথায়  দাফন করা হবে তা এখনও জানাননি তার বাবা।

এর আগে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পাঠানো হয়।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিমানে করে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসেন তার বাবা এম ওবাইদুল্লাহ। তার সঙ্গে সাব্বিরের মা ফাতেমা বেগমও এসেছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা সাব্বিরের বাবা-মা আসার পরেই তার মরদেহ নামানো হয়। যেহেতু তার বাবা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন সেহেতু তার উপস্থিতিতেই ছেলের মরদেহটি নামানো হয়। এতে তিনিও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, অফিসার্স মেসে আসার পর তার বাবা-মা ছেলের মরদেহ দেখেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

তার বাবা রাজশাহী আসার আগেই বলেছিলেন তিনি না আসার আগে যেন, মরদেহ নামানো না হয়। তারা সেই কাজটিই করেছেন। মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ তার মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। তাদের সঙ্গে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিউটও ঘটনাস্থলে ছিলেন। ওই কক্ষ থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি তাদের কাছে খুবই দুঃখজনক। তবে প্রাথমিকভাবে যেসব আলমত মিলছে তাতে সাব্বির আহমেদ সরফরাজ আত্মহত্যাই করেছেন বলে মনে হচ্ছে তাদের। এরপরও তার বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলের আত্মহত্যা করার মত কোনো কারণ নেই। এজন্য প্রকৃত ঘটনা বের করার জন্য তদন্ত শুরু করেছেন। এ কাজে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটও কাজ করছে।

এর আগে শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অফিসার্স মেসে সহকারী কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের মরদেহ পাওয়া যায়। দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজশাহী মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এসএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।