ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেট লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থী বেশি, কমেছে নারী পাঠক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
সিলেট লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থী বেশি, কমেছে নারী পাঠক সিলেট বিভাগীয় লাইব্রেরি। ছবি: আবু বকর

সিলেট: টেবিলগুলো শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জমজমাট। যেনো বিদ্যালয়ের ক্লাস হচ্ছে। জ্ঞানের অন্বেষণে একদল শিক্ষার্থীর এমন উপস্থিতি সব সময়ই দেখা যায় সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে।

তবে এক সময় নারী পাঠক বেশি থাকলেও গ্রন্থাগারের সামনে বখাটেদের আড্ডার কারণে কমেছে তাদের উপস্থিতি।    

বাইরে ও ভেতরের পরিবেশে নেই তেমন চাকচিক্য।

তবে জৌলুস আছে জ্ঞান আহরণের। চারতলা ভবনের ২য় ও ৩য় তলার তিনটি কক্ষ জুড়ে লাইব্রেরি। সাধারণ, বিজ্ঞান ও রেফারেন্স এবং শিশু বিভাগের আওতায় এ তিন ধরনের পাঠকের জন্য রয়েছে আলাদা পড়ার স্থান।

২য় তলার পাঠকক্ষে পত্রিকাসহ বিভিন্ন রেফারেন্স খোঁজা ও বিজ্ঞান ভিত্তিক বই এবং তৃতীয় তলায় রয়ে সাধারণ পাঠ ও শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষ। সিলেট বিভাগীয় লাইব্রেরি।  ছবি: আবু বকর

সরেজমিনে সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে গেলে সব পাঠকক্ষে পিনপতন নীরবতায় পাঠকদের বই পড়তে দেখা গেছে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের পাঁচদিনই এমন জমজমাট থাকে এ গ্রন্থাগার বলে জানান এখানে নিয়মিত আসা শিক্ষার্থী এমরান হোসেন। নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন তিনি।

বই পড়া ও ইতিহাস খোঁজার পাশাপাশি এখানে বেসরকারিভাবে রবি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দু’টি কম্পিউটার ল্যাব। শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ মিনিট করে রয়েছে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা।

তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ল্যাব স্থাপনে ৬টি কম্পিউটার থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছেন কর্মকর্তারাই।

গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান দিলীপ কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, নীতিমালা পাওয়ার পর এগুলো গ্রাহকদের ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের মোট বই ৬৮ হাজার ৬৮৩টি। জাতীয় ২০টি দৈনিক, স্থানীয় ও মাসিক মিলে ২৫টি পত্রিকা রাখা হয়।

তিনি বলেন, কম্পিউটার ল্যাব ছাড়াও তিনটি কক্ষে একসঙ্গে ২১৬ জন বসে পড়াশোনা করতে পারেন। এর মধ্যে ৩য় তলার লাইব্রেরিতে ১০৬টি, দ্বিতীয় তলায় ৭৩টি ও শিশু কর্নারে চেয়ার রয়েছে ৩৭টি। রেফারেন্স ও তথ্যানুসন্ধানের জন্য কম্পিউটার ল্যাবে ইন্টারনেট সুবিধা ছাড়াও পড়ুয়াদের সুবিধার্থে রয়েছে ফটোকপি মেশিন এবং সদস্য হয়ে বই বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ। সিলেট বিভাগীয় লাইব্রেরি।  ছবি: আবু বকর গ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক শওকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, এখানে পাঠকের উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রতিদিন সহস্রাধিক পাঠক আসেন। গত মাসে সাধারণ পুরুষ পাঠক ছিলেন প্রায় ১০ হাজার, নারী পাঠক ২ হাজার ৮৪ জন এবং শিশু পাঠক প্রায় ৮ হাজার।    
 
তবে নারী পাঠক কম হওয়ার পেছনে গ্রন্থাগারের বাইরের বখাটেপনাকে দায়ি করেন তিনি। অবশ্য প্রশাসনের সহায়তায় এখন এ উৎপাত কমেছে বলেও জানান।  
 
শওকত আলী জানান, এখানে ১৭টি পদের মধ্যে অ্যাকাউন্টেন্টসহ ৯টি পদে লোকবল নেই। তবে বরাদ্দ আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে। গত বছরের ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ৩১৭ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে বরাদ্দ বেড়ে এ বছর দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৪০০ টাকা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও নিজেদের বেতন বাবদ এ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

এখানে ১০০ আসনের একটি সেমিনার কক্ষ আছে। এটি পূর্ণ দিবসের জন্য ১ হাজার ৫শ’ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। এটিই লাইব্রেরির একমাত্র আয়ের উৎস বলেও জানান উপ-পরিচালক।  

** বগুড়ার লাইব্রেরিতে দুষ্প্রাপ্য পাণ্ডুলিপি!
** বই থাকলেও পাঠকশূন্য গফরগাঁওয়ের জব্বার লাইব্রেরি
** রঙের আড়ালে জরাজীর্ণ গাজীপুর পাবলিক লাইব্রেরি
** সবুজ ছায়া ঘেরা পরিবেশে উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি
** সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য মাত্র ২৫২!

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এনইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।